নিজস্ব প্রতিবেদক :
গাজীপুরা পশ্চিমপাড়া স্যার্টান টেক্সটাইলস লিমিটেড থেকে চুক্তিপত্র অনুযায়ী বাতিলকৃত কাপড় (ঝুট) ক্রয় কে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘষ্র্ বাধে। এ সময় ১০-১২ টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। উক্ত ঘটনায় ৫০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কাজী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন । মামলায় গাজীপুর মহানগরীর গাজীপুরা কাজীবাড়ী পুকুরপাড়া এলাকার কাজী আব্দুল মান্নানের ছেলে কাজী হারুন অর রশিদ (৫০) কে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে ২৮ জনের নামে। মামলার আসামি সবাই বিএনপির নেতাকর্মী। এসব আসামিরা হলেন – ফারহাদ বিন প্রবাল, আবু সাঈদ মোল্লা, কাজী মামুন, নুরুল আমিন বাবু, আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাদশা, আদনান খান, কাউসার, জসিম, তারা মিয়া, এম এস আরিফ, আরেফিন সিদ্দিক বুলবুল, আসাদুজ্জামান মামুন, আজিজুর রহমান টিপু , নাহিদ, সেলিম, সোহেল আহাম্মেদ ময়না, মাইদুল মোল্লা সেলিম মোল্লা, মাসুদ মোল্লা, রফিকুল ইসলাম, মইনুদ্দিন পোইটকা মইন, আলমগীর হোসেন, নাজমুল করিম বাবু, ফজলে রাব্বিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮০-১০০ জন। কিন্তু উক্ত মামলার ৫ নাম্বর আসামী কাজী নূরুল আমিন বাবু গত ২৬ জুন থেকে স্বপরিবারে কক্সবাজারে অবস্থান করা অবস্থায় মামলার আসামী হয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন। তা হুবুহু তুলে ধরা হলো …. আমি, কাজী নূরুল আমিন বাবু, গাজীপুরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি ও উত্তরণ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। আমি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি যে আমি কখনোই ঝুট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং এখনো এই ব্যবসার সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি কখনো কোন ফ্যাক্টরি গেটের সামনেও ঝুট ব্যবসার জন্য যায়নি। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে এই ঝুট ব্যবসা করব না এটা আমার কাজ না যারা ঝুট ব্যবসা করে এলাকার লোকজন তাদেরকে চিনে। অথচ, আমার বিরুদ্ধে একটি বানোয়াট, মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করা-ই আমার অপরাধ। স্পষ্টভাবে বলতে চাই বোমা মারা তো প্রশ্নে আসে না আমি কখনো কাউকে ক্ষতির চিন্তা করিনি, কাউকে কখনো গায়ে হাত তোলা তো দূরের কথা, একটি থাপ্পরও দিইনি। এই কথাটি আমি গর্ব করে বলতে পারি এবং কেউ এর বিপরীত প্রমাণ দিতে পারবে না। আজ যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে, তারা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের চেহারাটা দেখুক তাহলে বুঝতে পারবে কারা অপরাধী। যে মামলা দায়ের করেছে সেখানে যদি একটি তথ্য প্রমাণ দিতে পারে যে সেখানে আমি জড়িত আছি তাহলে আমি সব কিছু মেনে নিব।যদি এই অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে না পারে, তাহলে আমি দেশের প্রচলিত আইন ও প্রশাসনের কাছে তাদের বিরুদ্ধে বিচার দাবি করছি।এমনকি ঘটনার সময় আমি গাজীপুর ই ছিলাম না, গত ২৬ জুন থেকে স্বপরিবারে কক্সবাজারে আছি।সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক আমি চাই। নোংরা রাজনীতি ও নোংরা মানসিকতা থেকে দেশ ও দেশের মানুষ মুক্ত হোক । সত্যের পক্ষে আমি সবসময় আছি এবং থাকব ইনশাআল্লাহ । মিথ্যার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে আপনাদের দোয়া ও পাশে থাকা কাম্য।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে কাজী নুরুল আমিন বাবু গত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে হুমায়ুন কাজীর বড় ভাই কাজী আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে, আর এই নির্বাচন করার পর থেকে ও পরিবারের নিকট শত্রু বনে যান কাজী নূরুল আমিন বাবু,আর শুরু হয় একের পর এক অত্যাচার নির্যাতন যা কখনোই থেমে যায় নাই তারি ধারাবাহিকতায় হুমায়ুন কাজী এই মামলা দিয়েছে বলে আমরা মনে করি।
এদিকে সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী কাজী নুরুল আমিন বাবুর বিরুদ্ধে এমন শত্রুতামুলক মামলা দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে প্রতিবাদের ঝড়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে কাজী নুরুল আমিন বাবুর বিরুদ্ধে এমন মামলা হওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে
শেখ তৌহিদ লিখেছেন গাজীপুরায় কে কে ঝুট ব্যবসা করে সবাই কিন্তু জানে তারপরও আপনার নাম কেন আসলো জানিনা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।
কাজী মান্নান তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবি জানাচ্ছি। যারা বাবু স্যারের নামে অবৈধ মিথ্যা মামলা দিয়েছে তাদেরকে আইনি ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মেহরোব হোসেন অপু লিখেছেন ভালো মানুষকে কিভাবে সবাই বিপদে ফেলবে সেই চিন্তা করে। এ নিয়ে আমাদের মানববন্ধন করা উচিৎ।
ডনলয় বিন আহম্মেদ লিখেছেন এটা অত্যন্ত দু:খজনক ! বাবু স্যারকে আমার জীবদ্দশায় কারো ক্ষতি করতে দেখি নি। অত্যন্ত সাদা মনের মানুষ তিনি আমার প্রিয় স্যার। অবিলম্বে স্যারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
কাজী নাজমুল হক লিখেছেন বাবু ভাই এর নামে মিথ্যা মামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য জোর দাবি জানাই। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তদন্ত করে অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক সাজা দেওয়া হউক।
উক্ত বিষয়ে জানতে মামলার বাদীকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
উক্ত মামলার বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ ইস্কান্দার হাবিবুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান আমারা তদন্ত করে দেখবো
যদি কোন প্রমান না পাওয়া যায় অবশ্যই আমরা চার্জশিট থেকে নাম বাদ দিব।
Leave a Reply