নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রবঞ্চক তন্দ্রা ও তার পালিত পুত্র সজিব হাসানের খপ্পরে আকলিমা আজ দিশেহারা। মা পুত্রের কুকর্মের সুবিচারের আশায় প্রতিবন্ধী আকলিমা দুটি শিশু সন্তান নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। আকলিমার ভাষ্য মতে, প্রায় এক দশক পূর্বে টাংগাইলের কালিহাতী উপজেলার পাইকরা ইউনিয়নস্থ বানকিনা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের প্রতিবন্ধী মেয়ে আকলিমা আক্তার বাড়ী থেকে রাগের বশে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় বসবাস রত তার দাদার বাড়ীর উদ্দেশ্য যাত্রা করে। পথিমধ্যে পথ হারিয়ে সে চন্দ্রা ত্রিমোড়ে বসে কান্নাকাটি করতে থাকে। আকলিমাকে কান্নারত দেখে পার্শ্ববর্তী কালামপুর গ্রামের তাহাজ উদ্দিন তাহা মেয়েটির খোজ খবর জেনে নিরাপদ/ নিরাপত্তার জন্য পার্শ্ববতী কালামপুর গ্রামে রিভারভিউ স্কুলের সহ পরিচালক তন্দ্রা বোখারীর আশ্রয়ে রাখে। সুযোগ বুঝে তন্দ্রা ঢাকাতে তার পালিত পুত্র সজিব হাসানের শিশু সন্তান ইবাদতকে দেখা শোনার জন্য পাঠায়। সজিবের ১ম স্ত্রী বিউটিশিয়ান জয়া দিনে বাসায় থাকে না। খালি বাসায় সজিব প্রতিবন্ধী আকলিমার সাথে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সজিবের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য আকলিমাকে তন্দ্রা বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করে। সজিব ১ম স্ত্রী জয়ার অজান্তে আকলিমাকে কালামপুর নিয়ে এসে পালিত মা তন্দ্রার সহযোগীতায় কাজী ইসমাইলের মাধ্যমে ২য় বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই আকলিমা তার পৈত্রিক বাড়ী বানকিনা গ্রামেই বসবাস করছে। ১ম স্ত্রী ও আত্মিয় স্বজনের ভয়ে তন্দ্রা ও সজিব আকলিমাকে তাদের কাছে থাকতে দেয়নি। সজিব মাঝে মধ্যে ঢাকা টাংগাইল যাতায়াত করতো। বর্তমানে আকলিমার ৭ বছরের পুত্র সন্তান (ইমাম) ও ২ বছরের কন্যা সন্তান (ফাতেমা) রয়েছে। সজিব পূর্বে মাঝে মধ্যে এসে হাত খরচ বাবদ সামান্য কিছু অর্থ দিতো। বিগত ২ বছর যাবত আসা যাওয়া ও খরচ দেয়া বন্ধ। উল্টো আকলিমাকে দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় লক্ষাধীক টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে। সেই ঋনের কিস্তির টাকাও পরিশোধ করছে না। আকলিমা প্রতিবন্ধী গরীব মানুষ। কি করে ঋনের টাকা শোধ করবে? সে কথা তন্দ্রা সজিব কোন দিনই ভাবে না। বরং ইদানিং সজিব ও তন্দ্রা মিলে পুলিশ/ আর্মি/ থানা/ মামলা / না খেয়ে থাকা/ নির্যাতন এসব নাটক সাজিয়ে আকলিমার কাছ থেকে আরো প্রায় ২০ হাজার টাকা নিয়েছে। বিপদের অভিনয় করে এখনো টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে।
আকলিমা আরো জানায়, তার স্বামী সজিব হাসান মাদকাসক্ত একজনের বৌ ভাগিয়ে নিয়ে ৩য় বিয়ে করেছে। ৩য় স্ত্রী শিরিন ঢাকার মিরপুর এলাকায় বন্ধকী ব্যাবসার সাথে জড়িত, সজিব সেই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে।
আকলিমা বারবার তন্দ্রা বোখারীর কাছে সুবিচার চেয়ে পায়নি। সে সজিবের মামা অটো বোখারি, মামাত ভাই সিয়াম সহ অনেক আত্মিয়ের কাছে সুবিচার চেয়েছে। সকলেই সজিবের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেছে। কিন্ত আকলিমা মামলা করতে অর্থ কোথায় পাবে? সে বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মীর সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছে। প্রতিবন্ধী অসহায় আকলিমার সুবিচারের বাণী কি নিভৃতেই কাদঁবে?
Leave a Reply