ক্রাইম রিপোর্টার, গাজীপুর প্রতিনিধি :
স্থানীয় সূত্র ও সচেতন নাগরিকদের অভিযোগ অনুযায়ী, এই অপরাধমূলক চক্রের পেছনে রয়েছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি, যাদের মদদে গড়ে উঠেছে এক বিস্তৃত অপরাধ জাল। অভিযোগ রয়েছে, মোঃ ইমরান নামের এক ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী হলেও মূলত মাদক ব্যবসার সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একাধিক তরুণী, যারা রাতের আঁধারে বিভিন্ন এলাকায় দেহ ব্যবসার কাজে নিযুক্ত হয়। এ ছাড়া তার রয়েছে মোটরসাইকেল বাহিনী, যারা সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করে থাকে। স্থানীয়রা দাবি করেন, ইমরান নিজেকে একটি রাজনৈতিক দলের (বিএনপি) প্রভাবশালী নেতার ভাই হিসেবে পরিচয় দেন, যার প্রভাব খাটিয়ে তিনি এবং তার সহযোগীরা নির্বিঘ্নে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এই চক্রের আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে পরিচিত মোঃ আব্দুল খালেক, যিনি একজন নাইট গার্ড হলেও মূলত এই অবৈধ কাজের নিরাপত্তা ও লজিস্টিক সহযোগিতা দেন। তার দায়িত্ব হলো, সংশ্লিষ্ট মেয়েদের আশ্রয় দেওয়া এবং প্রয়োজনে মোটরসাইকেল বাহিনীকে খবর দেওয়া। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আশেপাশেই রয়েছে দুটি মসজিদ এবং দুটি মাদ্রাসা, যা এলাকার নৈতিক কাঠামোকে বিপন্ন করছে এবং যুবসমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। বিভিন্ন সময় স্থানীয়রা থানায় অভিযোগ দিলেও, কোনাবাড়ী থানার পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠে। এই বিষয়ে কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে, তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সচেতন এলাকাবাসী দাবি করছেন, অবিলম্বে এই চক্রকে আইনের আওতায় আনা হোক এবং এলাকার যুবসমাজ ও ধর্মীয়-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
Leave a Reply