কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামায় গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। ঈদের মাত্র একদিন আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে থেমে থেমে চলছে যানবাহন, বিশেষ করে চন্দ্রা ও সফিপুর ফ্লাইওভারে যানজট চরম আকার ধারণ করেছে।
গাজীপুরের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় পর্যায়ক্রমে ছুটি শুরু হয় মঙ্গলবার থেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফায় ১০ শতাংশ, দ্বিতীয় দফায় ৪০ শতাংশ এবং সর্বশেষ বৃহস্পতিবার একযোগে ৫০ শতাংশ কারখানায় ছুটি শুরু হলে কর্মীদের ঢল নামে মহাসড়কে। ফলে চন্দ্রা হয়ে উত্তরবঙ্গগামী রুটে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
চন্দ্রা হয়ে যাতায়াত করে উত্তরবঙ্গের ১৭টি জেলার মানুষ। এছাড়া কোরবানির পশুবাহী গাড়িগুলোও এই পথেই রাজধানীতে প্রবেশ করে। ফলে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। চন্দ্রা এলাকায় অন্তত ১২ কিলোমিটারজুড়ে চলছে থেমে থেমে যান চলাচল।
পর্যাপ্ত গণপরিবহণ না থাকায় যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। বাসের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও অনেকে উপায় না পেয়ে উঠছেন ট্রাক, পিকআপ বা বাসের ছাদে। যাত্রাপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও পাওয়া গেছে। একাধিক যাত্রী জানান, ঈদ ঘিরে সুযোগ বুঝে কিছু পরিবহণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছেন।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টিপাত যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তোলে। ভিজে জামাকাপড় ও ব্যাগপত্র নিয়ে কেউ দাঁড়িয়ে আছেন রাস্তার পাশে, কেউ বা ভিজে উঠেছেন যানবাহনের ছাদে।
যানজট ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি সওগাতুল আলম জানান, “ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। দায়িত্ব পালন করছেন চার হাজার পুলিশ সদস্য। এছাড়া সহায়তা করছেন সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরাও।
চন্দ্রা এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী বা মলম পার্টির উৎপাত ঠেকাতে পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছেন।
Leave a Reply