মোঃ লিটন উজ্জামান কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :-
কুষ্টিয়ার যুবসমাজের আইকনিক ফিগার, হাজারো যুবকে আইডল, জাতীয়তাবাদী রাজনীতির নির্ভীক কান্ডারী, দুর্দিনের সিপাহশালা, বার বার কারা নির্যাতন নেতা, বহুমুখী প্রতিভার উজ্জলতম দৃষ্টান্ত, কুষ্টিয়া জেলার জাতীয়তাবাদী চেতনায় ক্লিন ইমেজের অন্যতম নাবিক মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভাই কে কুষ্টিয়া জেলা যুবদলের আহবায়ক হিসাবে দেখতে চাই।
মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভাই কোন ভুঁইফোড় রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান নন, তাঁর চাচা মিনহাজুর রহমান আলো ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাংগঠনিক সম্পাদক যার প্রচন্ড ত্যাগ ও অক্লান্ত পরিশ্রমে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র ঘাটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুমন ভাই জন্মগতভাবেই জাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক ও বাহক। আমরা তাকে-ই কুষ্টিয়া যুবদলের কান্ডারী হিসেবে দেখতে চাই।
আপনারা জেনে থাকবেন মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভাই সক্রিয় রাজনৈতিক জীবন শুরু ১৯৯৮ সালে। রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে তিনি ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি, শহর ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য, কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য, এক এগারোর সময় সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের আহবায়ক, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সফল সভাপতি, জাতীয়তাবাদী নাগরিক সমাজের কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি, কুষ্টিয়া জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক এছাড়াও তিনি কুষ্টিয়া জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক হিসাবে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভাই জেলা যুবদলের আভ্যন্তরীণ লবিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কয়েকবার তদন্ত কমিটিতে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভাই বর্তমানে কুষ্টিয়া শহর যুবদলের আহবায়ক হিসাবে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনেই না সামাজিক অঙ্গনেও সুমন ভায়ের রয়েছে উচ্ছলতম পদচারণা, তার প্রতিষ্ঠিত সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘একটু পাশে দাঁড়াই’ শুধু কুষ্টিয়া নয় সারা বাংলাদেশে খ্যাতি লাভ করেছে এবং যার মাধ্যমে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছে। কুষ্টিয়াবাসি সুমন ভাই কে চেনে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসাবে যার মানবিক গুনাবলী এবং ক্লিন ইমেজের সুনাম কুষ্টিয়ার সবার মুখে মুখে। তিনি রেড ক্রিচেন্ট সোসাইটির কুষ্টিয়া জেলার আজীবন সদস্য, কুষ্টিয়ার সনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী স্কুল সিরাজুল হক মুসলিম হাই স্কুলের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি, এছাড়া প্রায় ২১ টা সামাজিক সংগঠনের উপদেষ্টা এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভাইয়ের মত মেধাবী জাতীয়তাবাদী দলে খুব কম দেখা যায়, এস এস সি পরীক্ষায় তিনি স্টার মার্ক পেয়ে কুষ্টিয়া জেলা স্কুল থেকে পাস করেন, তিনি গনিতে অনার্স এবং ডিগ্রি পাস করে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন, তিনি এল এল বি এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রেও উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
সাহিত্যজগতে মোস্তাফিজুর রহমান সুমন মোস্তাফিজ নামে পরিচিত মানুষটি আর কেউ নন তিনি আমাদের সুমন ভাই। এ পর্যন্ত সুমন ভায়ের লেখা ৪ টি বই ঢাকা বইমেলা তে প্রকাশিত হয়েছে, যার কারনে মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভাই বিশেষভাবে সম্মানিত হয়ে আসছেন। তিনি অনুশীলন সাহিত্য পরিষদের কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি, সাহিত্য বাড়ি সাংস্কৃতিক পরিষদের উপদেষ্টা, এবং চতুরঙ্গ প্রকাশন এর প্রকাশক। এছাড়া ভয়েজ অফ কুষ্টিয়ার প্রধান উপদেষ্টা, দৈনিক দিনের খবর পত্রিকার পরিচালনা পরিষদের সদস্য।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন অনেক হামলা মামলা উপেক্ষা করে এক দিনের জন্যও জাতীয়তাবাদী চেতনার আদর্শ থেকে এক পা পিছু হননি। হাসিনাবিরধী আন্দোলন করতে গিয়ে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ২৪ টা মামলার স্বীকার হন, মোট ৫ বার কারাবরন করেন এছাড়া বহুবার আওয়ামীলীগ এবং পুলিশের হামলার স্বিকার হন, পুলিশের আঘাতে এক কানের শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেন, দুইবার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান আওয়ামীলীগ কর্তৃক হামলার স্বিকার হন, বহুবার পুলিশ তল্লাশির নামে বাড়ি ভাংচুর করে, আন্দোলন করতে গিয়ে দুই বার গু_লি বৃদ্ধ হন। সবশেষ বৈষম্যবিরধী ছাত্রদের এক দফা আন্দোলনে প্রধম সারির একজন সংগঠক এবং রাজপথে থেকে আন্দোলন করে গু_লি বৃদ্ধ হন। যা সরকারি গেজেটে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
আমি মনে করি তার মত শিক্ষিত, যোগ্য, অভিজ্ঞ, ত্যাগী, বলিষ্ঠ,বহুমাত্রিক প্রতিভার ক্লিন ইমেজের নেতাকে কুষ্টিয়া জেলা যুবদলের আহবায়ক করলে কুষ্টিয়া জেলা যুবদল আরো গতিশীল হবে।
Leave a Reply