স্টাব রিপোর্টার:
গিরিজা কিশোর (জি,কে) আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন মোড়লের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে আর সেসব অভিযোগ নিউজ আকারে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জন সম্মুখে উঠে এসেছে, যে নিউজগুলো এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে, গাজীপুরের সর্বসাধারণ এই প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দুর্নীতির কথা জানলেও এখনো টনক নড়েনি গাজীপুরের শিক্ষার সাথে জড়িত থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের । পত্রিকার প্রকাশিত সংবাদের কপিগুলো ইতিমধ্য বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন সংবাদ কর্মীরা, তার মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর পরিচালক প্রফেসর ড, খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ইউনুস শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গাজীপুর (শিক্ষা ও আইসিটি) সোহেল রানা, গিরিজা কিশোর (জি,কে) আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সরকারি অফিসার, জেএম শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাঈমা খান। নাইমা খান একজন সরকারি অফিসার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে গিরিজা কিশোর (জি,কে) আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছে তার, সরকারি অফিসার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিলেও কেন বন্ধ করলেন না এই অনিয়ম দুর্নীতি, নাইমা খান সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম ফিলাপের নামে সরকারের নির্ধারিত ফি এর চেয়েও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছেন আদায় করেছেন এই প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন মোড়ল, কোন অভিভাবক এই টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের সাথে করা হতো চরম দুর্ব্যবহার, করেন।
বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কক্ষটি ব্যাক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেন। বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য সময়মত প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র শিক্ষক- শিক্ষিকারা দেখতে পারেন না, স্কুলের কাগজপত্রের চাবি স্কুলের অফিস কক্ষে থাকার কথা, প্রশ্ন কেন সেটা ব্যক্তিগত চাবি হিসেবে ব্যবহার করেন, বহু আগে থেকেই প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের হিসাব নিয়ে জটিলতা তো আছেই।
নাইমা খান সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও আজও পর্যন্ত করেননি শিক্ষকদের নিয়ে কোন মিটিং, নাঈমা খানের কাছে আবুল হোসেন মোড়লের অনিয়ম নিয়ে প্রকাশিত পত্রিকার নিউজগুলো পৌঁছানো হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে, নাঈমা খানের সাথে আবুল হোসেন মোড়লের সুসম্পর্ক থাকায়, আবুল হোসেন মোড়লের নামে অসংখ্য পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজগুলো আমলে নেননি এই কর্মকর্তা, তার কাছ থেকে এসব কিছু সুরাহা না পেয়ে কথা হয় গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিজা আরেফিন এর সাথে, তিনি অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হোসেনের অনিয়ম দুর্নীতির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন, অনুসন্ধানের জানা যায় এতসব অনিয়ম অপরাধ দুর্নীতির অভিযোগ যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে তিনিই এখন গাজীপুরের রানী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের হল সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন, এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ প্রধান শিক্ষক কাটতে পারেন কিনা সে বিষয় নিয়ে কথা হয় গাজীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আল মামুন তালুকদারের সাথে। তিনি বলেন প্রধান শিক্ষক নিজের মনগড়া মত ক্লাস রুটিন করতে পারবেন না, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সমন্বয়ে ক্লাস রুটিন করবেন, এছাড়াও যে কোন এমপিও ভুক্ত কিংবা সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাছ কেউ ইচ্ছে হলেই কাটতে পারবেন না, কাটতে হলে তাকে প্রথমে জেলা বন বিভাগের কাছে গাছ কাটার আবেদন করতে হবে, আবেদনের প্রেক্ষিতে সেই বন বিভাগ থেকে বন বিভাগের কর্মকর্তারা এসে সেই গাছ কেন কাটতে হবে সেই বিষয়গুলো জানবেন, জানার পরে যদি দেখেন গাছ কাটলে প্রতিষ্ঠানের উপকার আসবে শিক্ষার্থীদের ভালো হবে তাহলে সেই গাছ কাটা যাবে এবং গাছের মূল্য নির্ধারণ করে তারা জেলা কমিটির কাছে আবেদন করবে, আবেদন করার পর সেখান থেকে আবারও কর্মকর্তারা এসে পরিদর্শন করবেন, পরিদর্শনের পরে যদি দেখা যায় এই গাছ কেটে বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যবহার করা যায় তাহলে সেটা কাটা যাবে, এবং বিক্রয়কৃত গাছের টাকা প্রতিষ্ঠানের ব্যাঙ্ক একাউন্টে জমা রাখতে হবে, যার কোনটাই করেননি অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন মোড়ল। আবুল হোসেন মোড়লের এসব অপরাধ অনিয়ম ও দুর্নীতির সমস্ত ফিরিস্তি তুলে ধরা হয় জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে, তিনি বললেন তার এসব অপরাধ প্রমাণিত হলে তার চাকরি থাকবে না, এবং তার বিরুদ্ধে সরকারিভাবে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, আরো উল্লেখ থাকে যে এসব বিষয়গুলো নিয়ে যখন গাজীপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা হয় তখন সাংবাদিকদের কাছ থেকে জেলা শিক্ষা অফিসারের নিজস্ব লোক দ্বারা মোবাইল ক্যামেরা সহ সবকিছুই সাংবাদিকদের কাছ থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছিল, অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য চাওয়া হয় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেনের অপরাধ অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে তখন তিনি সাংবাদিকদের ক্যামেরায় আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হননি। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত রয়েছেন তার একটি পরিচয় রয়েছে তিনি কৃষকলীগের পদধারী নেত, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকা আওয়ামী লীগের দোসরদের কে আমরা দেখেছি সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত এবং পুলিশ কর্মকর্তাদেরও গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে কিন্তু এতসব অভিযোগ থাকার পরও এই শিক্ষক ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে আজও, তবে এ বিষয়ে অবগত রয়েছেন গাজীপুরের দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক বায়জিদুর রহমান খান ।
এসব বিষয় প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন মোড়লের সাথে যোগাযোগের বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলেও তাকে বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply