তুষার আহম্মেদ :
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ০৫ নং শ্রীফলতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ কবির খান জনগণের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতিদান দিয়ে চলেছেন নিরলসভাবে। ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করে তিনি ওয়ার্ডবাসীর সেবা করার সুযোগ পান। ১৪০০ ভোটের মধ্যে ৭৫১ ভোট পেয়ে তিনি শুধু বিজয়ই অর্জন করেননি, জয় করে নিয়েছেন ৬ নং ওয়ার্ডের মানুষের হৃদয়।মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে কবির খানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৬ নং ওয়ার্ড আজ একটি স্মার্ট ও আধুনিক ওয়ার্ড হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন এনেছেন তিনি।এবিষয়ে জানতে চাইলে ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল জলিল বলেন, “কবির খান একজন কর্মঠ এবং জনদরদী মানুষ। নির্বাচনের আগে তিনি যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় আসার পর তার চেয়েও বেশি কাজ করে দেখিয়েছেন। আমাদের রাস্তাঘাট আগে খুব খারাপ ছিল, এখন চলাচলের যোগ্য হয়েছে। রাতে রাস্তায় লাইট না থাকায় অনেক সমস্যা হতো, এখন প্রায় সব রাস্তাতেই বৈদ্যুতিক আলো লাগানো হয়েছে।”গৃহিণী ফাতেমা বেগম জানান, “মেম্বার সাহেব সবসময় আমাদের খোঁজখবর রাখেন। কোনো সমস্যা হলে আমরা সরাসরি তার কাছে যাই এবং তিনি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেন। আমাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার ব্যাপারেও তিনি বিভিন্নভাবে সাহায্য করেন।”
তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি সোহেল রানা বলেন, “আমাদের এলাকায় খেলাধুলার তেমন কোনো সুযোগ ছিল না। কবির খান মেম্বার একটি খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন, যা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের। এছাড়াও, তিনি যুবকদের বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কাজে উৎসাহিত করেন।”এবিষয়ে জানতে চাইলে
মেম্বার কবির খান বলেন জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত মেম্বার মোঃ কবির খান বলেন, “আমি সবসময় জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে চেয়েছি। আমার ওয়ার্ডবাসীর আস্থা ও ভালোবাসা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। এই তিন বছরে আমরা সকলে মিলেমিশে ৬ নং ওয়ার্ডকে একটি আধুনিক ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। তবে আমার কাজ এখানেই শেষ নয়, জনগণের কল্যাণে আরও অনেক কাজ করার বাকি আছে।”তিনি আরও বলেন, “আমার লক্ষ্য হলো একটি স্মার্ট ওয়ার্ড তৈরি করা, যেখানে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা – প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া এই কাজ কখনোই সম্ভব নয়।”কবির খানের এই কর্মনিষ্ঠা ও জনমুখী কার্যক্রম সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ৬ নং ওয়ার্ডবাসীর জীবনে যে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন, তা অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের জন্যও অনুকরণীয় হতে পারে। তার কাজের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় যে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন প্রতিনিধি চাইলে কতটা পরিবর্তন আনতে পারেন।
Leave a Reply