কালিয়াকৈর প্রতিনিধি:
কালিয়াকৈর পৌর শ্রমিক দলের নতুন কান্ডারি হিসেবে উঠে এসেছেন আসাদুল ইসলাম। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে শ্রমিক আন্দোলন পর্যন্ত বিস্তৃত তাঁর সংগ্রামী পথচলা। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি অবহেলিত শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে একটি তারুণ্যনির্ভর শ্রমিক দল গঠনের স্বপ্ন দেখেন তিনি এবং শ্রমিক দলের রাজনীতিতে তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
২০০৯ সালে কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির তৎকালীন সভাপতি এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সহ সম্পাদক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির খানের হাত ধরে আসাদুল ইসলামের রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাত হয়। ছাত্র জীবনে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যুক্ত থাকার পাশাপাশি তিনি গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। এরপর, ২০২০ সালে তিনি যুবদলে যোগদান করেন এবং কালিয়াকৈর পৌর ৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ২০২২ সালে আসাদুল ইসলাম শ্রমিক দলের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায় শুরু করেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পৌর শ্রমিক দল অল্প সময়ের মধ্যেই একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় আরও জোরালো ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন এই তরুণ নেতা।
রাজনৈতিক জীবনের বন্ধুর পথে ২০১৩ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য পুলিশি হয়রানির শিকার হন আসাদুল ইসলাম। কালিয়াকৈর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয়। এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তাঁকে তিন মাস আট দিন কারাভোগ করতে হয়। পরবর্তীতে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।
আসাদুল ইসলাম গভীরভাবে বিশ্বাস করেন, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত না করা গেলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়। এই বিশ্বাসকে ধারণ করে তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
গত ২০২৩ সালের ২৮ শে অক্টোবর জীবন বাজি রেখে ঢাকা প্রগ্রামে গিয়েছিলেন আসাদুল। এরপর আওয়ামী নির্বাচন বর্জনের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত বিএনপির যে সকল কর্মসূচি ছিল, প্রায় সকল কর্মসূচিতেই তার সরব উপস্থিতি ছিল। সেই সময় প্রায় আড়াই মাস পরিবার ছাড়া আত্মগোপনে থাকতে হয়েছিল তাকে। এছাড়াও স্বৈরাচারী হাসিনা পতনের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনেও তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল এবং সেই সময় তাকে রাজপথে দেখা গিয়েছে।
কালিয়াকৈর অঞ্চলের সাধারণ মানুষের কাছে আসাদুল ইসলামের রাজনৈতিক জীবন এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণার উৎস। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে কালিয়াকৈর পৌর শ্রমিক দল আগামী দিনে আরও শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে এবং শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য শীঘ্রই নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
Leave a Reply