কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কোটি টাকার উপরে টাকা দিয়ে গরুর হাট ইজারা নিয়ে বিপাকে পড়েছে জামালপুর চার রাস্তা গরুর হাটের ইজারাদার ফরহাদ হোসেন সহ হাট কমিটি। প্রতিপক্ষরা টেন্ডারে হেরে গিয়ে ইজারাকৃত গরুর হাটের মাথায় নিয়ম বহির্ভুতভাবে আরেক হাট বসিয়েছে। ইজারা বহির্ভুত অপর হাটটি বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরার লিখিত আবেদন দিয়েও কোন ফল পাচ্ছেনা হাট কমিটি। শুক্রবার দুপুরে ইজারাকৃত পশুর হাটের ইজারাদার ফরহাদ হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন ইজারাকৃত হাটের এক কিলোমিটারের মধ্যে কোন পশুর হাট বসানোর নিয়ম না থাকলেও প্রতিপক্ষরা টেন্ডারে হেরে গিয়ে আমাদের হাটের মাথায় তারা আরেকটি পশুর হাট বসিয়েছে। ইজারা বহির্ভুত হাটটি বন্ধের জন্য প্রশাসনের কাছে বার সহযোগীতা চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে একই স্থানে দুটি পশুর হাটকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার আশংকা করছে স্থানীয়রা।
সংবাদ সম্মেলনে জামালপুর চাররাস্তা হাটের ইজারাদার ফরহাদ হাসেন বলেন, জামালপুর চাররাস্তার পশুর হাটটি এক কোটি পাচ লাখ ত্রিশ হাজার টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিয়ে ১৪৩২ বাংলা সনের জন্য বৈধভাবে ইজারা পেয়েছি। কিন্ত প্রতিপক্ষরা টেন্ডারে হেরে গিয়ে ক্ষোভে আমাদের ইজারাকৃত হাট ঘোষে নিয়ম বহির্ভুতভাবে আরেকটি পশুর হাট বসিয়েছে। তারা আমাদের হাটে গরু নিয়ে আসা গরুর বেপারীদের জোরপুর্বক তাদের হাটে নিয়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের নানা ভাবে ভয়ভীতি সহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে আমরা নিরপত্তাহীনতায় ভুগছি। নিরাপত্তা চেয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে। এদিকে আমাদের হাটের পাশে আরেকটি হাট দেওয়ার ফলে আমাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকা করছি। প্রতিপক্ষদের হাটটি বন্ধের জন্য গাজীপুর জেলা প্রশাসক এবং কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিতভাবে আবেদন জানিয়ে কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কোন সহযোগীতা করা হচ্ছে না। আমি প্রশানের কাছে ইজারা বহির্ভুত পাশের হাটটি বন্ধের জোর দাবি করছি। সংবাদ সম্মেলনে জামালপুর চাররাস্তা হাট কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহাম্মেদ বলেন, জামালপুর চাররাস্তা এলাকার হাটটি ফরহাদ হোসেন বৈধভাবে ইজারা নিয়েছে। তিনি এবার হাটটি ইজারা পেয়েছেন। পাশেই আরেক হাট অস্থায়ীভাবে নিজস্ব জমিতে বসিয়েছে। তাদের এখনো কোন অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইজারাকৃত হাটের ইজারাদারকে সহযোগীতা না করার বিষয়টি সঠিক নয়।
Leave a Reply