1. admin@dainikseshbela.com : seshbela :
বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাসন থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে শহীদ জিয়ার ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন পবিত্র ঈদুল আযহার ত্যাগের মহিমা ও শান্তির বার্তা নিয়ে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন মোঃ হুমায়ুন কবির খান পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুহাম্মদ আবু ইউসুফ  ফুলবাড়ীতে কামারদের ব্যস্ততা বেড়েছে। রংপুরে আওয়ামী গুন্ডা জাহিদ হাসান জনি ও জিন্নাতুল ইসলাম জয় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণ করেন,খিদিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাতক্ষীরার ধুলিয়ার কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাসুদ ওরফে কোপা মাসুদ আবারো বেপরোয়া পবিত্র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শহীদ জিয়া প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শেখ সোহেল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন গণমানুষের নেতা: বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী কমান্ডার কালিয়াকৈরে আটাবহ ইউনিয়ন শ্রমিক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাউনিয়ার শেষ ভরসা  টর্চ লাইট ও মোমবাতি

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫
  • ৩৭ বার পাঠ করা হয়েছে

মাটি মামুন রংপুর:

রংপুরের  কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  তেলের অভাবে চালু হচ্ছে না জেনারেটর,নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে  অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে জেনারেটরটি। লোডশেডিংয়ের সময় বন্ধ থাকছে অস্ত্রোপচার। টর্চ কিংবা মোমবাতি জ্বালিয়ে চলে হাসপাতালের কার্যক্রম। রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। জানা গেছে রোগীদের সেবামান বাড়াতে  ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় করা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টি,এছাড়া রোগীর অপারেশনসহ বিভিন্ন সময়ে নির্বিঘ্নে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে হাসপাতালে অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর বরাদ্দ দেওয়া হয় ২টি, এর মধ্যে একটি সচল  থাকলে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে প্রায় তিন বছর যাবত এখনো  মেরামত হয়নি অন্য ১ টি জেনারেটর, পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। জেনারেটরটি, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে দুর্ভোগে পড়ছেন রোগী ও স্বজনেরা। তবে জ্বালানি তেলের প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে জেনারেটরটি। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে দুর্ভোগে পড়ছেন রোগী ও স্বজনেরা। প্রায়ই বন্ধ থাকছে অস্ত্রোপচারও। হাসপাতালে আসা রোগীরা বলছেন, এত কোটি টাকা খরচ করে হাসপাতাল ভবন তৈরি করা হয়েছে, মেশিন বসানো হয়েছে। কিন্তু জেনারেটরই যদি না চলে এগুলোর দরকার কী? রোগীদের অপারেশনের সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর না থাকায় কাজ বন্ধ হয়ে থাকে। ভোগান্তির কোনো শেষ নেই, লোডশেডিংয়ের সময় মোমবাতি ও টর্চ লাইট জ্বালিয়ে জরুরি সেবা দিতে হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া একাধিক রোগীরা জানান সারা দিনে  কয়েকবার  বিদ্যুৎ যায়। আমাদের এই গরমে অনেক সমস্যা হয়। দিনের বেলা কষ্ট করে থাকলেও রাতে বেশি সমস্যা। হাসপাতালে কোনও জেনারেটর নেই। রাতে কারেন্ট চলে গেলে পুরোই অন্ধকার হয়ে যায়। চিকিৎসা নিতে এসে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি আমরা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের আত্মীয়-স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাসপাতালের মতো এমন একটি জায়গায়  কারেন্ট চলে গেলে  রোগীদের জন্য বিকল্প কোনও ব্যবস্থা নেই।দিনের বেলা পাখা দিয়ে বাতাস দিয়ে কোন রকম চলা যায়। রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় পুরো হাসপাতাল অন্ধকার হয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  নাম প্রকাশে  অনিচ্ছুক একাধিক মেডিকেল অফিসারা জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে অনেক গরম লাগে কারণ জেনারেটর থাকলেও তা চলে না। রোগীদেরও কষ্ট হয় তখন। হাসপাতাল পুরো অন্ধকার হয়ে গেলে মোমবাতি ও টর্চ লাইট জ্বালিয়ে জরুরি সেবা দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি হাসপাতালে রোগীদের কথা চিন্তা করে লোডশেডিংয়ের সময় জেনারেটর বা অন্য কোনো উপায়ে ফ্যানগুলো চালানোর ব্যবস্থা করা, যাতে অন্তত রোগীদের কষ্ট কিছুটা কমে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা সুজয় সাহা জানান,জনবল সংকট ও তেলের বরাদ্দ না থাকার কারণে জেনারেটর  চালানো সম্ভব হচ্ছে না, এমার্জেন্সি সহ কয়েকটি রুমে  আইপিএস এর ব্যবস্থা রয়েছে, বিষয়টি  ঊর্ধ্বতন  কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি