স্টাফ রিপোর্টার:-<>
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না’ এই প্রতিপাদ্যে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন এর হয়দেবপুর গ্রামে অসহায় মানুষের মাঝে বিভিন্ন সময় নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত সাবেক ছাত্রনেতা, বর্তমান প্রভাবশালী যুব নেতা, ও মালয়েশিয়া প্রবাসী মোঃ সুজন মিয়া।কাওরাইদ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অসহায় মানুষের পাশাপাশি রোগে আক্রান্ত মানুষের পাশে থাকেন তিনি।সরজমিনে সুজন মিয়ার বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায়, যাদের জোটে না দু’বেলা দু’মুঠো খাবার। এসব দিশেহারা মানুষের মাঝে প্রতি বছরই ইফতার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন অনেকটা নীরবে-নিভৃতে এবং প্রচারও বিমুখ।এ সকল মানবিক উদ্যোগে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামের মালয়শিয়া প্রবাসী মোঃ সুজন মিয়া।প্রতিবারের মতো এবারও প্রবিত্র রমজান উপলক্ষে শতাধিক অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া দেশে থাকা নিকটজনের মাধ্যমে নিরবে প্রচার বিমুখ ছাড়া বাড়ীতে সারি সারি ইফতার সামগ্রী রেখেছেন। এখান থেকে একজন দুইজন করে আসছেন তা নিয়ে যেথে দেখা যায়।
হয়দেবপুর গ্রামের কয়েকজন বিএনপি কর্মী বলেন মালয়শিয়ায় থাকা সুজন মিয়ার সহযোগিতায় প্রতি বছর রমজানে আগে অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আর্থিক অনুদান ছাড়াও খেলার সরঞ্চাম, চিকিৎসা ও ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়।এ ভাবে প্রবাসে থাকা লোকজন প্রতি পরিবারের পাশে দাঁড়ালে অসহাত্ব কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।দীর্ঘদীন ধরে করোনার প্রভাবে ক্ষুধার্ত মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন গুনীজনের মাধ্যমে প্রবাসে থেকেও তাঁদের তালিকা তৈরী করে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিলেন সুজন মিয়া।প্রতি রমজানে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন তার লোকজন।কিন্তু খাদ্য সামগ্রী বিতরণে তাঁর কোন দল নেই।দলমত নির্বিশেষে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন।প্রবাস থেকে মোঃসুজন মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে আমি দায়িত্ব মনে করেছি সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর।ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি, দু’বেলা দু’মুঠো খাওয়ার সংগ্রাম।এই সংগ্রামটাই আমি অসহায়দের জন্য করছি।শুধু খাদ্য সামগ্রীই নয় তিনি অসহায় রোগিদের মাঝে নগদ অর্থ চিকিৎসা সামগ্রী
তিনি আরও বলেন, অসহায়দের পেটে যতোদিন ক্ষুধা আছে ততদিন তাদের পাশে থাকতে চাই। এটাই আমার তৃপ্তি। অসহায় মানুষগুলো পেটপুরে খাওয়ার পর তৃপ্তির যে হাসিটা দেয়, এটা আমার কাছে কোটি টাকার সম্বল। আমার এই পরিশ্রম স্বার্থক হয় তখন। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা চাল-ডাল পওয়ার পরে তাদের হাসিমাখা মুখটা দেখার আনন্দটা নিজের চোখে না দেখলে বোঝানো যাবে না।