এস.এম দুর্জয়:
প্রায় দীর্ঘ দেড়যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি,দলের দুঃসময়ে সাহসী কান্ডারী হিসেবে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা মুহাম্মদ আক্তারুল আলম মাস্টার।বিএনপির দুঃসময়ে সকল আন্দোলন- সংগ্রামে দুর্দিনে নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে অভিভাবক হিসেবে ছিলেন,শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির জনপ্রিয় কর্মীবান্ধব নেতা মুহাম্মদ আক্তারুল আলম মাস্টার।তিনি বর্তমানে শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।তাঁর সাহসী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শ্রীপুর উপজেলার বিএনপিসহ সকল অঙ্গ সংগঠনকে একত্রিত রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী ভূমিকায় করে রেখেছিল দুঃসময়ে।বর্তমানে তৃণমূল কর্মীদের একমাত্র দাবি,সুসময়ে বহু অতিথি নেতারা শ্রীপুরে বিএনপির রাজনীতিতে দেখা গেলেও দুঃসময়ে তাদের দেখা যায়নি।দলের যে কোনো বিপর্যয়ের সময় গাজীপুরের শ্রীপুরের রাজপথ থেকে শুরু করে ঢাকার রাজপথে দলের আন্দোলন-সংগ্রামে সম্মুখ সারীতে ভূমিকা রাখেন,মুহাম্মদ আক্তারুল আলম মাস্টার।পাশাপাশি হামলা-মামলায় আহত অবস্থায় হাসপাতালে থাকা নেতাকর্মীদের পাশে একমাত্র আক্তারুল আলম মাস্টারেই ছিলেন।স্বৈরশাসনামলে দলের দুঃসময়ে দীর্ঘ ১৭ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের নির্যাতন,সংগ্রাম,হামলা-মামলায় একাধিক বার কারাবরণ করেছেন তিনি।আক্তারুল আলম মাস্টার শহীদ জিয়ার আদর্শে আদর্শিত হয়ে এবং বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে ছাত্র জীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।তিনি তেলিহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেছেন।পরবর্তীতে তিনি শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।বর্তমানে তিনি শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং সহকারী শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক এর দায়িত্ব সুনামের সহিত পালন করে যাচ্ছেন।মুহাম্মদ আক্তারুল আলম মাস্টার তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।তাঁর নেতাকর্মীরা জানান,বিএনপির দুঃসময়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের আমলে মামলা হামলার ভয়ে অনেক নেতাই এলাকা ছাড়া অবস্থায় তখন তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লায় দলীয় নেতা-কর্মীদের কে সাথে নিয়ে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন।যার কারণে শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির একজন ত্যাগী ও সফল রাজনৈতিক কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির এই সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক।বিগত সময়ে বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপকভাবে রাজপথে নেমে পড়েতেন আক্তারুল আলম মাস্টার।অনেক মামলার আসামী হয়ে দিনের পর দিন,মাসের পর মাস,বছরের পর বছর এবং যুগ পেরিয়েও নেতা-কর্মীদের নিয়ে আদালতের বারান্দায় সময় কেটেছে তাঁর।বিএনপির রাজনীতিতে এসে অনেক নির্যাতনের শিকার হন তিনি এবং একাধিক বার কারাবরণ করেন।তিনি শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্বে আসার পরেও ক্ষমতার স্বাদ এখনো পাননি।বিএনপির রাজনীতি করার অপরাধে দীর্ঘদিন শ্রীপুর ছাড়তে হয়েছে তাকে এবং বাড়ি-ঘরও খুইয়েছেন তিনি।স্বৈরশাসনামলে আওয়ামী পুলিশ বাহিনী তাকে দফায় দফায় তার বাড়িসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালায় এবং নানা নির্যাতনের শিকার হন।শ্রীপুর উপজেলার স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের মতে,উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে আক্তারুল আলম মাস্টার দুঃসময়ের কাণ্ডারী হয়ে আছেন নেতা-কর্মীদের পাশে।বিএনপির দুঃসময়ে অনেক বাঘা বাঘা নেতা আওয়ামী সরকারের আমলে এবং দলের কঠিন সময়ে নিজেদের বাঁচাতে আড়ালে আবডালে থেকেছেন,কেউবা আবার সরকারি দলের সাথে আঁতাত করে চলেছেন।সেসময়েও সাহসী সৈনিক হয়ে নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন এবং বর্তমানেও রয়েছেন মুহাম্মদ আক্তারুল আলম মাস্টার।শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির তৃণমূলের এসব নেতা-কর্মী দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,তাঁর বিরুদ্ধে দলের ভেতরে ও বাইরে অপশক্তি চক্রের কোনো ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচার ঐক্যবদ্ধ বিএনপি বরদাশ করবে না।দেশে গণতন্ত্র ও বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে আক্তারুল আলম মাস্টারের মতোই এ ধরনের ত্যাগী নেতাই দরকার বলে মনে করেন সাধারণ নেতাকর্মীরসহ শ্রীপুরের সর্বস্তরের জনগণ।