রাজশাহী প্রতিনিধি:

দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে চাঁদাবাজি ও বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহী দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের দোসর ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কথিত সাংবাদিক শাহাবুদ্দিনের চাঁদাবাজি ও বিএনপির বিরুদ্ধে অপ্রচারের অভিযোগে ২৭ এপ্রিল রবিবার বিকেল সাড়ে চারটার সময় দুর্গাপুর ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে জিয়া চত্বরে এসে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার প্রধান অতিথি জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক দুর্গাপুর পৌরসভা মেয়র সাইদুর রহমান মন্টু এবং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামারুজ্জামান আয়নালের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সভায় জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক দুর্গাপুর পৌরসভা মেয়র সাইদুর রহমান মন্টু তার বক্তব্যে বলেন, "উপজেলার আনাচে-কানাচে থাকা পতিত সরকারের প্রেতাত্মারা অস্ত্রবাজি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি করছে। এমনকি সাংবাদিকতার মতো মহান পেশার নাম ভাঙিয়ে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা করছে। এসব সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কথিত সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন ছাত্র লীগ করতেন। এ সুযোগে তিনি বিভিন্ন জায়গায় সাংবাদিকদের পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করতেন। এখন বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব ঘটনা নিয়ে কথিত সাংবাদিক শাহাবুদ্দিনকে বিক্ষুদ্ধ জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হতে হয়েছে। আপনারা সবাই সজাগ থাকুন একে যেখানে পাবেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনার হাতে তুলে দিবেন"।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ইমাম হাসান ফারুক সুমন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক জুবায়েদ হোসেন। পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজ মন্ডল, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো: হাসানুজ্জামান লাল্টু, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব হাসান রেজাউল করিম স্বপন, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক রফিক মন্ডল, বিএনপি নেতা জার্জিস হোসেন সোহেল, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আজাদ রেজাউল করিম রেজা, সাবেক উপজেলা যুবদলের সভাপতি মাইনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম আজম, জেলা যুবদলের সদস্য রেন্টু,কৃষক দলের সদস্য সচিব মোহাইমিনুল হক রেন্টু, ছাত্রদল নেতা সাকিব, রিমন ও অন্যান্যরা।

প্রসঙ্গত, একটি নিজস্ব অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন গত শনিবার বিকেলে উপজেলার নারায়ণপুর গেলে গণধোলাইয়ের শিকার হোন। বিক্ষুদ্ধ জনতার দাবি, এই শাহাবুদ্দিন দীর্ঘ দিন ধরে এলাকাজুড়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষকে ব্যাপক হয়রানির ও চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।